রাজশাহী পাটকল শ্রমিকদের বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মত আমরণ অনশন চলছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে জুটমিলের প্রধান ফটকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়।
রাজশাহী জুট মিলসের সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, “আগের রাত থেকে সকাল পর্যন্ত পাঁচ শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন।”
তাদের মধ্যে গফুর, আসলাম ও মনসুরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জিল্লুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, “রাতে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়লে জুট মিলের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান তাদের প্রাথমিক পরীক্ষা করে আসলামকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। আর মোস্তাফিজুর ও সাইদুরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
“পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আব্দুল গফরকে এবং বেলা ১১টার দিকে মনসুরকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
দেশের ২৬টি রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকলের মধ্যে ১২টি পাটকলের শ্রমিকরা এই আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা অঞ্চলের নয়টি, রাজশাহীর একটি নরসিংদীর একটি এবং চট্টগ্রামের একটি পাটকলের শ্রমিকরা রয়েছেন বলে শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন।
আন্দোলনরতদের ১১ দফা দাবির মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীর সিদ্ধান্ত বাতিল, কাঁচা পাট কিনতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা কথা রয়েছে।
জিল্লুর রহমান বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীর সিদ্ধান্ত বাতিল, কাঁচা পাট কিনতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের এ কর্মসূচি চলবে।
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ২৩শে নভেম্বর থেকে দেশের ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা সভা, বিক্ষোভ মিছিলসহ ধর্মঘট পালন করে আসছে বলে জানান তিনি।