প্রত্যাহার হওয়াদের একজন উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রূপন চন্দ্র সরকার বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তাদের প্রত্যাহার করে গাজীপুর পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন এসআই (তিনি নিজে), দুইজন এএসআই, একজন হাবিলদার ও দশজন কনস্টেবল রয়েছেন।
তবে এরপর ফাঁড়ির নতুন ইনচার্জ কাকে করা হয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি।
কালীগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক বলেন, “পুলিশ প্রত্যাহারের ব্যাপারে অফিসিয়ালভাবে এখনও কিছু জানি না। অনেকের মুখে মুখে শুনছি।
ওসি বলেন, ‘স্থানীয়রা জানান-ডাকাতরা পুলিশের পোশাক পরা ছিল।”
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত সোমবার রাত ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ২শ গজের মধ্যে বাজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
‘আইনের লোক পরিচয়ে’ ৫টি স্বর্ণের দোকানসহ ৭ দোকান থেকে আনুমানিক ৫৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৩৪০ ভরি রূপা ও নগদ ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ রাসেল বলেন, এসব পুলিশের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ আনা হয়নি। সাধারণত কোনো এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টিমকে পরিবর্তন করা হতে পারে। তাই এদের প্রত্যাহার করা হয়ছে।