মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের পারলা বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লারসহ আন্তঃজেলা সব বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা।
নেত্রকোণা জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম খান বলেন, বিআরটিসির বাস কোন জায়গায় কীভাবে চলাচল করবে এটার সরকারি নিয়মকানুন আছে। নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে হঠাৎ করে ১০টা গাড়ি পাঠানো হয়েছে।
“তাদের ইচ্ছামাফিক চালাইলে সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে বিআরটিসি আইসা দাঁড়াইবে। তখন মালিকরা কোথায় যাইবে?”
এ নিয়ে প্রশাসনের সাথে আলোচনা চলছে এবং মঙ্গলবারও বৈঠক রয়েছে জানিয়ে তিনি যোগন করেন, “আশা করি গাড়ি চলাচলের একটা ব্যবস্থা হবে।”
গত রোববার নেত্রকোণা–ময়মনসিংহ সড়কে চলাচলের জন্য বিআরটিসির ১০টি দ্বিতল বাস উদ্বোধন করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান ও জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম।
ওইদিনই দুপুরের দিকে বাসগুলো চলাচলে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণার পারলা বাসস্ঠ্যান্ডে শ্রমিকেরা বাধা দেন। এতে করে সোমবার বিআরটিসির বাসগুলোও বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে, জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়কাশিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান পারলা বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে। তিনি যাবেন ঢাকায় কিন্তু বাস ধর্মঘটের কারণে যেতে পারছেন না।
তিনি বলেন, সকাল থেকে অপেক্ষা করতাছি। ধর্মঘট করার কারণে আমরা ঢাকা যাইতে পারতাছি না। চরম দুর্ভোগে আছি। এখন কীভাবে যে ঢাকা যাব।
“আমি অফিস করি। কীভাবে যে অফিস ধরব বুঝতেছিনা।”
একইভাবে অপেক্ষায় আছেন, মদন উপজেলার মনতোষ দাস। ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়ে বাস চলবে প্রত্যাশায় স্ট্যান্ডে বসে আছেন তিনি।
দূরপাল্লার যাত্রীরাই বেশি বিপাকে পড়েছেন। পাশের ময়মনসিংহের যাত্রীরা বাস না পেয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় চলে যাচ্ছেন।
তবে নেত্রকোণা শহরের সাতপাই এলাকার দেবল চন্দ্র বলেন, ৮০ টাকা ভাড়া ছিল ময়মনসিংহের চায়নাসেতু নাগাদ। বাস না চলায় অটোরিকশা চার কিলোমিটার আগে শম্ভুগঞ্জ নাগাদ চলছে আবার ভাড়াও নিচ্ছে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে।