ভালুকের পালে প্রথমবারের মত বাচ্চার জন্ম হওয়ায় নতুন সম্ভাবনা দেখছেন বলে জানিয়েছে শ্রীপুরের এ সাফারি পার্কের কর্মকর্তারা। এছাড়া পার্কের সিংহ পরিবারে একাদশ শাবকের জন্ম হয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
এ পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, গত শনিবার কোর সাফারির আফ্রিকান সাফারি পার্কের ভালুকের বেষ্টনীর গর্তের ভেতর বাচ্চার শব্দ শোনা যায়। পরে দেখা যায় গর্তের মধ্যে একটি মা ভালুক বাচ্চা নিয়ে বসে আছে।
এরপর থেকেই পার্কের তারা গর্তের মধ্যেই মা ভালুককে খাবার দিচ্ছেন বেলে জানান তিনি।
“তাছাড়া ভালুকের নিরাপত্তার কথা ভেবে কাছে যাওয়া হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই বাচ্চার সংখ্যা জানতে চেষ্টা করা হবে।”
ভালুক সাধারণত একসাথে এক থেকে তিনটি বাচ্চার জন্ম দিয়ে থাকে।
এদিকে ছানা নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে এক মা সিংহকে।
তবিবুর বলেন, সোমবার দুপুরে সিংহের বেষ্টনীতে মা সিংহকে বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়।
সিংহ শাবকের জন্মের সময় সাধারণত চোখ ফোটে না, এদের চোখ ফুটতে ৩-১১ দিন সময় লাগে।
নতুন জন্ম নেওয়া শাবকটির চোখ ফুটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে শাবটির বয়স অন্তত ১৫ দিন। জন্মের সময় এদের ওজন ১-৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তিনি জানান, শাবকরা ১০-১৫ দিনে হাঁটতে শেখে। ৪-৫ মাস বয়স থেকে মায়ের দুধের পাশপাশি অন্য খাবার খাওয়ানো শেখানো হয়। এরা প্রায় বছর দুয়েক পর্যন্ত মায়ের কাছাকাছি থাকে।
এদের প্রধান খাদ্য গো মাংস এবং প্রতি শুক্রবার জীবিত খরগোস দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
এ নিয়ে পার্কে সিংহের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তবে নতুন শাবকটি পুরুষ না মাদী তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
“এ পর্যন্ত সাফারী পার্কে ১১টি সিংহ শাবকের জন্ম হয়েছে। তবে বিভিন্ন ধাপে এ পার্ক থেকে ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানায় ৪টি সিংহ সরবরাহ করা হয়েছে।
সদ্য জন্ম নেওয়া ভালুক ও সিংহশাবকগুলোর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পারক্ কর্তৃপক্ষ।