ময়মনসিংহে সব রুটে বাস বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রী

জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনার সফল না হওয়ায় ময়মনসিংহ থেকে সব রুটে বাস চলাচল দ্বিতীয় দিনের মত বন্ধ রেখেছে বাস মালিকরা।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2019, 05:03 AM
Updated : 10 Dec 2019, 05:12 AM

মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা বাস মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুব আলম বলেন, ‘বিআরটিসির বাস বন্ধ করা’ আমাদের প্রধান দাবি। যতক্ষণ না তা বন্ধ হচ্ছে আমরা বাস চালাব না।

তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি সমাধানের জন্য গতকাল রাতে জেলা প্রশাসকের পরিবহন মালিকরা বসে ছিলাম কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসু না হওয়ায় বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত অব্যাহত রয়েছে।

“আমাদের দাবি দাওয়া না মানা পর্যন্ত সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ থাকবে।”

গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড ও পাটগুদাম বাস টার্মিনাল থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রেলস্টেশনে চাপ বেড়েছে। কয়েকগুণ ভাড়া দিয়ে অটোরিকশাতেও সড়ক পথে যাতায়াত করছে যাত্রীরা।

ময়মনসিংহ থেকে হালুয়াঘাটগামী দুই যাত্রী সোহেল ও আরমান হোসেনের সঙ্গে কথা হয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের। 

আরমান বলেন, “ময়মনসিংহ থেকে হালুয়াঘাটের বাস ভাড়া ৫০টাকা। এখন হালুয়াঘাট যাওয়ার জন্য দুইজনে এক সিএনজিকে পাঁচশ টাকা বলেছি তাও যেতে রাজি হয়নি। যাওয়ার কোন উপায় না পেয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি।”

এনা পরিবহনের চালক মো. ঝুমন মিয়া, শরাফত আলী ও শফিক জানান, তাদের বাসের মালিকরা বাস বন্ধ রাখতে বলেছেন।

“মালিকরা যদি বলে চালতে তাহলে আবার চালাব।”

মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড ও পাটগুদাম ব্রিজমোড়ে আবুল হোসেন ও নাহিদ নামে দুই শ্রমিক জানান, বিআরটিসি বাস চালুর পর থেকে তাদের যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তাই মালিকরা ক্ষতির আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিআরটিসির বাসের কারণে বেসরকারি বাসমালিকদের যেমন খুশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নষ্ট হয়েছে।

আবুল ফজল নামে এক শ্রমিক বলেন, “বিআরটিসি বাস চালুর পর থেকে বেসরকারি বাসের যাত্রীসংখ্যা অনেক কমে গেছে। তাই মালিকরা লোকসানের আশঙ্কায় বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

“বিআরটিসির বাসের ভাড়া কম। যাত্রীরা বিআরটিসির বাসের প্রতি বেশি আগ্রহী। আবার বিআরটিসির বাসগুলো বেশি বড় হওয়ায় তারা একবারে অনেক যাত্রী নিয়ে যায়।”