সোমবার নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারগুলো এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাদেবপুর উপজেলার কুঞ্জবন গ্রামের লতিফুর রহমানের ছেলে মো. মানিক।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, কুঞ্জবন গ্রামের লতিফুর রহমানের স্ত্রী মরিয়ম বেগম, মহাদেবপুর গ্রামের বজলুর রহমান বল্টু, পার্শ্ববর্তী জোয়ানপুর গ্রামের আবু তাহের মন্ডল, আলিম উদ্দীন সরদার ও শিবপুর গ্রামের শাহজাহান মিঞা ১৯৮৫ সালের ৩ জুন, ২৮ জুলাই ও ২৪ অগাস্ট তিন দফায় মহাদেবপুর মৌজায় ৭.১৬ একর জমি একই এলাকার আনন্দ কুমার উপাধ্যায় ওরফে দশরথের কাছ থেকে কিনে নাম খারিজ ও খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন।
“কিন্তু এরপর মহাদেবপুর এলাকার বাসিন্দা পুলিশ পরিদর্শক মো. রেজাউল ইসলাম ও তার বড়ভাই অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমানসহ মোকছেদ আলী, তার ভাই আনোয়ার হোসেন ও শামসুজ্জোহা এবং একই গ্রামের শরিফা বেগম ‘জাল’ দলিল করে ওই জমি জবরদখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রতিপক্ষে পুলিশ ও আইনজীবী থাকায় তারা কোথাও প্রতিকার পাচ্ছেন না। তাদের উচ্ছেদ করার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন নানা ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে তাদের আইনগত সহায়তা দিলেও পরে প্রতিপক্ষের হস্তক্ষেপে মহাদেবপুর থানা পুলিশ ভুক্তভোগীদের জমিতে চাষাবাদ করতে নিষেধ করে এবং নিষেধ না মানলে তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসনোসহ ক্রসফায়ারে দেওয়ার ভয় দেখায় বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান এই ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান।
এছাড়া পুলিশ পরিদর্শক মো. রেজাউল ইসলামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি এই জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন।