সোমবার রাজশাহী নগরের রাজপাড়ায় থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন জানান, এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় গত রোববার গ্রেপ্তারকৃত হত্যার পরিকল্পনাকারীরা হলেন, দাশপুকুর এলাকার আয়নাল মীরের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৮), বহরমপুর আলীগঞ্জ এলাকার তাহাসেন আলীর ছেলে মিলন (৩০) ও বহরমপুর এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে জিন্দার (৪৮)।
এর আগে শনিবার এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে নগররের রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে হামিদুর রহমান বাবু (৩৫), হড়গ্রাম নতুনপাড়ার হারুনের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৮), চন্দ্রিমা থানার উজিরপুর এলাকার আছের উদ্দীনের ছেলে আব্দুস সামাদ (৫০), জাবেদ আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৪১) ও মকবুল আলীর স্ত্রী মোসা. আশুরা (৪৮) গ্রেপ্তার হয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার সাজিদ বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে দাশপুকুর এলাকা থেকে খামারি আব্দুল মজিদকে খুন করে তার চারটি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাজিদ বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারীদের রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন, আরিফুল ইসলাম, মিলন ও জিন্দার।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, আব্দুল মজিদকে প্রথমে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করানো হয়। এরপর আসামি মিলন ও জিন্দার মিলে হাত দিয়ে গলাটিপে শ্বাসরাধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এতে তারা ব্যর্থ হয়।
“পরে আসামি আরিফুল ইসলাম মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর তারা দুইটি গরু ও দুইটি বাছুর একটি ইঞ্জিন চালতি যান ‘ভটভটি’তে তুলে পালিয়ে যায়।”
রাজশাহী নগরের উজিরপুর থেকে লুট হওয়া চারটি গরু উদ্ধার এবং ভটভটিটিও জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ৪ ডিসেম্বর রাতের দাশপুকুর বাইপাস সড়কের পাশে খামারি আব্দুল মজিদ হত্যাকাণ্ড এবং খামার থেকে চারটি গরু লুটের ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে আব্দুস সালাম বাদি হয়ে রাজপাড়ায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।