‘ভোটের জন্য’ প্রার্থীরা সেতু তৈরি করে দেওয়ার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচন শেষ হলেই তাদের আর দেখা মেলে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বিকেনগর দৈনিক বাজারের পুব পাশে হাওলাদার কান্দি ও সোবানদি মাদবর কান্দি গ্রামের সংযোগ স্থলে দিয়ে পদ্মানদী বয়ে গেছে। এ মরা পদ্মানদীর উপর স্থানীয় লোকেদের উদ্যোগে বাঁশের সাকো নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া এলাকার কৃষিপণ্য বাজারে নেওয়ারও একমাত্র ভরসা এ বাঁশের সাঁকো।
এ বাঁশের সাঁকো পারাপারে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে নুরুল বলেন, “সাঁকো থেকে পড়ে কারো হাত ভাঙছে, কারো পা ভাঙছে।”
প্রশাসনের লোকজন বা স্থানীয় কোনো জনপ্রতিনিধি প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা সিপন হাওলাদার বলেন, “নির্বাচন আসলে এলাকাবাসী যাতায়াতের সুবিধার জন্য ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানালে তখন নেতাকর্মীরা প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরে আর বাস্তবায়ন করা হয় না।”
একই অভিযোগ করে বিকেনগন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার শিল্পী বেগম বলেন, “প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পর আর তাদের দেখা মেলেনি।”
হওলাদার কান্দি গ্রামের ওয়াজ উদ্দিন সেক বলেন, “এ অঞ্চলের কমপক্ষে ২০ হাজার লোকের যাতায়তের একমাত্র ভরসা এ বাঁশের সাঁকোটি। এ অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য আমরা বাজার জাত করতে খুবই কষ্ট হয়। প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধি কেউ আমাদের কষ্টের কথা ভাবছে না।”
অনেক কষ্টে সাঁকো পার হয়ে বাজার-সদাই করার কথা তুলে সোবানদি মাদবর কান্দি গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, “আমাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য একটি পাকা ব্রিজ করে দেওয়া হোক।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি হাওলাদার কান্দি ও সোবানদি মাদবর কান্দি মরা পদ্মা নদীতে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করে।
“এখানে একটা ব্রিজ করা সম্ভব। তাই অতি শীঘ্রই উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে প্রাক্কলন প্রস্তুত করে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”