সিরাজগঞ্জের মোট চাহিদার চার ভাগের এক ভাগ পেঁয়াজ জেলার চাষিরা উৎপাদন করেন বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
সম্প্রতি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের পেঁয়াজ চাষি সালেহা খাতুন, আব্দুল কুদ্দস ও কফিল উদ্দিন বলেন, তারা বিভিন্ন স্থানে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ চুরি হওয়ার খবর পেয়েছেন। তাই পেঁয়াজ রক্ষায় রাত জেগে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন। যাদের জমি বাড়ি থেকে বেশ দূরে তারা দিনেও পাহারা দিচ্ছেন।
পাশাপাশি গরু-ছাগলের আক্রমণ থেকে পেঁয়াজ রক্ষায় তারা এ বছর অধিকাংশ জমিতে নেট দিয়ে ক্ষেতে বেড়া দিয়েছেন বলেও রহমাত আলী জানান।
চাষিরা জানান, পেঁয়াজ চাষে বিঘা প্রতি তাদের ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি তাদের ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ হবে।
চলতি বছর শাহজাদপুর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন কৃষকরা। এসব জমি থেকে ৪৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি অফিস।
“এ উপজেলায় উৎপাদিত পেঁয়াজ এলাকার চাহিদা পূরণ করে কৃষকরা বাইরেও বিক্রি করতে পারবেন। আশা করছি সে সময় শাহজাদপুরের বাজারও স্থিতিশীল হবে।”
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, জেলায় ৪১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ চাহিদার বিপরীতে চাষ হয় ১০ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর পর্যায়ক্রমে এক হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হবে। প্রথম পর্যায়ে তিনশ হেক্টর জমিতে ডাঁটা পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে; যা শীঘ্রই বাজারে আসবে। পরবর্তীতে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সাতশত হেক্টর জমিতে গুটি পেঁয়াজ চাষ করা হবে।