‘সোনালী আঁশে ভরপুর/ভালোবাসি ফরিদপুর’ স্লোগান সামনে রেখে গত ৩০ নভেম্বর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এই মেলা শুরু হয়। আয়োজন করেছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন।
মেলা সম্পর্কে গত ২৯ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেছিলেন, ফরিদপুরের ব্র্যান্ডিং পণ্য পাট ও পাটজাত বিভিন্ন দ্রব্যের স্থানীয় ও বৈদেশিক বাজার সৃষ্টি করে পাটকে বিশ্বে সমাদৃত করাই এ মেলার উদ্দেশ্য।
দেশে পাট উৎপাদনে ফরিদপুর প্রথম স্থানে রয়েছে বলে তিনি জানান।
কিন্তু যে পাট নিয়ে এই ব্রান্ডিং মেলা, সেখানে পাটপণ্যের যথেষ্ট উপস্থিতি দেখা যায়নি।
এছাড়া করিম গ্রুপ, রাজ্জাক জুট ইন্ড্রাস্টিজ ও গোল্ডেন জুট ইন্ড্রাস্টিজের তিনটি স্টলে পাটের ব্যাগ, চট, স্যান্ডেলসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদর্শন করা হলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে না।
তাছাড়া মেলায় শাড়ি, থ্রিপিস, ব্লেজার, জ্যাকেট, জুতা, স্যান্ডেল, ভ্যানিটি ব্যাগ প্রভৃতির স্টল রয়েছে।
আছে ফুচকা, চটপটি, জিলাপি, চিংড়ির ঝাল ফ্রাই, শীতের পিঠা, আইসক্রিমের স্টল ও শুকনো খাবারসহ নানা পদের দোকানপাট।
বিসিক পরিচালিত রহমত ট্রেডার্স থেকে বিক্রি করা হচ্ছে মধু। সেখানে সরিষা, লিচু, মিশ্রিত, সুন্দরবন, বড়ই ও কালোজিরা ফুলের মধু বিক্রি হচ্ছে। বিসিকের মৃৎশিল্পের একটি স্টলও রয়েছে। সেখানে বিক্রি হচ্ছে মাটির বিভিন্ন শোপিস।
মেলার আকর্ষণ বাড়াতে রাখা হয়েছে বেলুন শুটার, ম্যাজিক শেখার জন্য ম্যাজিক শপ, মিনি ট্রেন, চরকি, ঘোড়া রাইড, নাগরদোলা, নৌকার দোলনা প্রভৃতি ব্যবস্থা।
মেলা কমিটির আহ্বায়ক ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসলাম মোল্লার সাংবাদিকদের বলেন, ব্রান্ডিং মেলা অবশ্যই পাটপণ্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। কিন্তু শুধু পাটপণ্য দিয়ে মেলা করা যায় না বলেই তার সঙ্গে অন্য সামগ্রী রাখা হয়েছে।
“ফরিদপুরে উৎপাদনমুখী ১২টি পাটকল রয়েছে। তাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এসেছে মাত্র তিনটি। তারা শুধু প্রদর্শনী করছেন। পরে হয়ত চাহিদা অনুযায়ী বড় সরবরাহ দিতে পারবেন।”