র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকালে সাভার পৌরসভার উত্তর জামসিং মহল্লায় এই অভিযান পরিচালনা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন কারখানা মালিক শরিফুল ইসলাম শরিফের ভাগ্নে আশারুল ইসলাম (২৮) ও কারখানার ব্যবস্থাপক মশিউর রহমান মিন্টু (৩২)।
‘এফ এস এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামের এই কারখানা থেকে প্রায় বিশ লাখ টাকার নকল এন্টিবায়োটিক, ভিটামিন ও মোটাতাজাকরণ ওষুধ জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
সাভার উপজেলা সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শহিদুল্লাহ কায়সার বলেন, উত্তর জামসিং এলাকায় একটি টিনসেড বাড়ি ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে নকল গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগির ওষুধ বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে আসছিল ‘এফ এস এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ’ কর্তৃপক্ষ।
“কারখানায় হাই গ্রোথ লিকুইড প্রিমিক্স, গ্রোথ প্রোমাটার, সিপোভিট-২০ ও আরও বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক, মোটাতাজাকরণ ওষুধ তৈরি হতো। এর সবই ছিল নকল ও নিম্নমানের।”
র্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিছুর রহমান বলেন, অনুমোদনবিহীন কারখানায় নকল ওষুধ তৈরির অভিযোগে কারখানা থেকে আটক দুই জনকে ছয় মাস করে জেল দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিনহাজ উদ্দিন মোল্ল্যা বলেন, কাগজের প্যাকেজিং কারখানা করার জন্য কয়েকমাস আগে তারা বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল।
তবে স্থানীয় কাউন্সিলরকে ম্যানেজ করেই কারখানাটি করা হয়েছিল বলে আটক মশিউর রহমান মিন্টুর ভাষ্য।
অভিযানে র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা, ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এমদাদুল হক তালুকদার, সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলে রাব্বী মন্ডলসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।