বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা শহরের পাথালিয়া গুয়াবাড়িয়ায় নিজ বাড়িতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
আহত আব্দুর রহিম (৬৫) ওই গ্রামের মৃত সাহা মাহমুদের ছেলে। তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও বিজিবি জানায়, আব্দুর রহিমের বাড়ির দুই কিলোমিটার দূরে চন্দ্রায় বিজিবি ক্যাম্পে পুলিশের শীতকালীন মহড়া চলছিল। সেখান থেকে একটি গুলি এসে ঘরের টিনের বেড়া ভেদ করে রহিমের পায়ে লাগে।
আব্দুর রহিমের মেয়ে কোহিনুর বেগম বলেন, তার বাবা জোহরের নামাজ পড়ে খাটের উপর শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বেলা ৩টার দিকে হঠাৎ একটি গুলি এসে ঘরের টিনের বেড়া ভেদ করে তার পায়ে লাগলে তিনি চিৎকার দিয়ে ওঠেন।
পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে কোহিনুর জানান।
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাছির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বিজিবি ক্যাম্পে পুলিশের পাঁচ দিনব্যাপী শীতকালীন মহড়া চলছিল। এ ঘটনা কীভাবে ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
“পুলিশ গুলিবিদ্ধ আব্দুর রহিমের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। ঘটনার পর থেকে পুলিশের ফায়ারিং প্রশিক্ষণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান জানান, রোগীর স্বজনেরা একটি গুলি থানায় জমা দিয়েছেন।
বিকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বাছির উদ্দিনসহ পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে আহত আব্দুর রহিমকে দেখে এসেছেন।
জামালপুর বিজিবির ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম আজাদ বলেন, বিজিবি ক্যাম্পের ফায়ারিং স্পটে পুলিশের প্রশিক্ষণ চলছিল। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গাজী মো. রফিকুল হক বলেন, “বাম পায়ের এক দিকে গুলি ঢুকে পা ফুড়ে অপরদিকে বেরিয়ে গেছে। ক্ষতস্থান দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তিনি বর্তমানে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তবে এখন শঙ্কামুক্ত।”