মৌলভীবাজারে পৈত্রিক ভিটায় ভাষাসৈনিক রওশন আরাকে দাফন

মৌলভীবাজারে পৈতৃক বাড়িতে ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2019, 02:24 PM
Updated : 4 Dec 2019, 02:25 PM

বুধবার সকাল ১১টায় কুলাউড়া নবীন চন্দ্র মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই পার্শ্ববর্তী উছলাপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ, ভাষা রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম এ মুক্তাদিরসহ জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোর রাতে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

১৯৩২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উছলাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চু। তার বাবা এ এম আরেফ আলী, মা মনিরুন্নেসা খাতুন। পিরোজপুর গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতক (সম্মান) ও পরে ইতিহাসে এমএ পাস করেন তিনি।

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৪৪ ধারা ভেঙে শিছিলকারীদের একজন ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোতেই রওশন আরা গণতান্ত্রিক প্রোগ্রেসিভ ফ্রন্টে যোগ দিয়ে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে। সলিমুলাহ মুসলিম হল এবং উইম্যান স্টুডেন্টস রেসিডেন্সের সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। 

তিনি ঢাকার আনন্দময়ী স্কুল, লিটন অ্যাঞ্জেলস, আজিমপুর গার্লস স্কুল (খণ্ডকালীন), নজরুল একাডেমি, কাকলি হাই স্কুল এবং পরে আলেমা একাডেমিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। ২০০০ সালে বিএড কলেজের অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

রওশন আরা বাচ্চুর মেয়ে তানভির ফারহানা ওয়াহিদ বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য তার মা ভাষা আন্দোলন করেননি। দেশের ভাষার জন্য করেছেন। দেশের সর্বত্র বাংলা ভাষার প্রচলন হলে তার আত্মার শান্তি পাবে। মা বেশ কদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।