সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আদমজী ইপিজেডের অভন্তরের টিএনএস বাটন কারখানার সামনে থেকে ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
তার মোবাইল ফোনসেটটিও ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
তবে অভিযুক্ত কাউন্সিলর ও থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলী হোসেন আলা দাবি করেন-তিনি ব্যবসায়ী ইউছুফকে তার লোকজন দিয়ে তুলে এনে সমঝোতা করে ছেড়ে দিয়েছেন।
চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে আলী হোসেন বলেন, “সন্ধ্যার পর তাকে আসতে বলা হয়েছে। সে আসলে তার মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”
এদিকে ব্যবসায়ী ইউছুফ জানান, টিএনএস বাটন কারখানা কর্তৃপক্ষ কোটশেন আহ্বান করলে তিনি নিয়ম মাফিক কোটেশন দাখিল করে বৈধভাবে কাজ পান। কর্তৃপক্ষ তাকে কাজ দিয়েছে তাই তিনি ওই কারখানায় ব্যবসা করে আসছিলেন।
“হঠাৎ সোমবার বিকেলে ওই কারখানার সামনে থেকে তিনটি মোটরসাইকেলে করে শাহজাহান, হারুন, নজরুলসহ ছয়জন লোক তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী হোসেন আলার কার্যালয়ে নিয়ে নিয়ে যান।”
ব্যবসায়ী ইউসুফ জানান, সেখানে কাউন্সিলর আলী হোসেন ‘ইপিজেডে ব্যবসা করতে হলে আমাকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে’ এ কথা বলেই লোকজনসহ মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।
দীর্ঘদিন থেকে আদমজী ইপিজেডের টিএনএস বাটন কারখানায় ব্যবসা করে আসছিলেন জানিয়ে কাউন্সিলর আলী হোসেনের বলেন, ইউছুফ তার ওই বাটন কারখানায় তার ব্যবসা নিয়ে যেতে চাচ্ছে বলে তার লোকজন তুলে এনে ‘সমঝোতা করার পর’ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক বলেন, এক ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি জানান, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।