নোম্যান্স ল্যান্ডে বিএসএফ চৌকি, বিজিবির চিঠি নেয়নি বিএসএফ

রাজশাহী এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ চৌকি স্থাপন করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা চলছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2019, 04:02 PM
Updated : 2 Dec 2019, 04:11 PM

ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠানোর চেষ্টা হলেও বিএসএফ তা গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছেন বিজিবির ১ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ বুলবুল।

তিনি বলেন, “রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সাহেবনগর সীমান্তে নোম্যান্স ল্যান্ডে শুক্রবার গভীর রাতে বিএসএফ এ চৌকিটি স্থাপন করে। হঠাৎ গড়ে ওঠা চৌকিটা দেখতে পেয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফের চরলবণগোলা কোম্পানিকে চিঠি ও বিভিন্ন মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিএসএফ কোনো চিঠি গ্রহণ করেনি।

“বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়ার পর সেভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নোম্যান্স ল্যান্ড থেকে নিজ দেশের ১৫০ মিটার ভেতরে চৌকি করার নিয়ম রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু বিএসএফ ৭০ মিটারের ভেতরে চৌকিটা স্থাপন করেছে।

এ বিষয়ে ১ ব্যাটালিয়নের ডেলটা কোম্পানির কমান্ডার নায়েব সুবেদার শওকত আলী বলেন, সাহেবনগর সীমান্ত ফাঁড়ির এক কিলোমিটার পুব দিকে পদ্মার একটি শাখা ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার চরলবণগোলা এলাকায় ঢুকেছে। সেখানকার সীমানা পিলারগুলো গত বছর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সম্প্রতি শাখা নদীটিতে চর পড়েছে। চরে গিয়ে কিছুদিন ধরে বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছিলেন।

“বিএসএফ ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে চরটিতে গিয়ে শুক্রবার রাতে বাঁশের মাচা পেতে ওপরে খড় ও পাটকাঠি দিয়ে চৌকি তৈরি করে। পরদিন শনিবার সকাল থেকে বিএসএফ সেখানে অবস্থান নিয়ে টহল দিতে শুরু করে। বিজিবি রোববার দিনের বেলায় একবার আর রাতে আবার চরের কাছাকাছি গিয়ে সিগন্যাল দিলে দুইবারই বিএসএফ চৌকি ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে রাতে তারা আবার নৌকা নিয়ে ফিরে আসে। সোমবার সকালে বিজিবি আবারা সেখানে গেলে বিএসএফ আবার চর ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।”

এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, চরটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড সংলগ্ন। চরের আশপাশে রয়েছে বাংলাদেশের ফসলি জমি, যেখানে কৃষকরা নিয়মিত চাষাবাদের কাজ করতেন। বিএসএফ চৌকি তৈরির পর থেকে কৃষকরা জমিতে যেতে পারছেন না।

কৃষকরা তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে চরে বিজিবি চৌকি চেয়েছেন। এদিকে বিজিবি এলাকাবাসীকে শান্ত থাকতে বলেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।