সর্বশেষ রোববার সকালে সদর উপজেলার বটতৈল গ্রামের কবির উদ্দিনের ছেলে রায়হান (২২) আর তার আগের দিন সদর উপজেলার জুগিয়া বারখাদা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে সাজেদুল (২২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
এর আগে একই হাসপাতালে গত ২৪ নভেম্বর মারা যান জুগিয়া বারখাদা গ্রামের অমল কুমার দাসের ছেলে চান্নু (১৭) আর ২৬ নভেম্বর মারা যান একই এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে মেহিদী হাসান (১৮)।
সোমবার সকালে সাজেদুলের লাশ দাফন করা হয় তাদের গ্রামের কবরস্থানে। সে সময় তাদের বড়িতে গিয়ে দেখা যায় স্বজনদের মাতম।
সাজেদুলের স্ত্রী চামেলী খাতুন দেড় বছরের শিশুছেলেকে জড়িয়ে ধরে আহাজারি করতে করতে বলেন, “আমার চাইরদিক অহন অথৈ সমুদ্র। বাচ্চা নিয়ে আমি কিভাবে চলব? কুহানে দাঁড়াব?”
গত ২২ নভেম্বর ভোরের দিকে বারখাদা এলাকায় কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী সড়কের পাশে উনল্যান্ড নামে প্লাইউড কারখানায় আগুন লেগে চার শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের প্রথমে কুষ্টিয়ায় নেওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেদী হাসান টিটু বলেন, তাদের দেহের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার মত অবস্থায়ও ছিলেন না তারা।
এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে।