রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষায় বসতে না শিক্ষার্থী কবির আল গালিব এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্র।
ওই আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কবির আল গালিবের দেওয়া ওই স্ট্যাটাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত শৃঙ্খলা বিধির ৫(ক) নম্বর ধারা ভঙ্গ করার সামিল। একই সঙ্গে বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর।
এ বিষয়ে কবির আল গালিবের বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাব করেছিলাম। এখান থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বাদ দিয়ে এটিকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা বলে ছিলাম।
একটি ফেইসবুক পোস্টের জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর একটি দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ও আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে সময়িক বহিষ্কার করার পর উপাচার্য নাসিরের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক নাসিরের পদত্যাগের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন কবির আল গালিব। আন্দোলনের চাপে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন অধ্যাপক নাসির।
এরপর ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পান প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন।
ওইসব দাবির মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংক্ষিপ্ত করে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ রাখার দাবিও করা হয়। তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা গ্রহণ করেনি। পরে শিক্ষার্থী কবির আল গালিব বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুকে একটি স্টেটাস দেয়।
তবে এবার ফেইসবুক স্টেটাসের জন্য শিক্ষার্থীদের একাংশ তার বহিষ্কার দাবি করে ভারপ্রাপ্ত ভিসির কাছে আবেদন করে বলে জানিয়েছে কয়েকজন ছাত্র।
ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান বলেন, কবির আল গালিব একটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাকে সাময়িকভাবে পরীক্ষা থেকে বিরত থাকবে বলা হয়েছে।
অভিযোগটি স্পর্শকাতর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।