এজলাশ থাকলে গাজীপুরে আরও বিচারক দেবেন প্রধান বিচারপতি

বিচার তরান্বিত করতে গাজীপুর জেলা জজ আদালতে এজলাশের সংকট না থাকলে আরও বিচারক পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2019, 04:56 PM
Updated : 1 Dec 2019, 05:26 PM

রোববার গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয় চত্বরে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, গাজীপুর আদালতে এজলাশের সংকট না থাকলে এখানে আরও বিচারক প্রেরণ করা হবে, যাতে এখানে বিচার কাজ ত্বরান্বিত হয়।

২০০৫ সালে গাজীপুর আইনজীবী সমিতির কক্ষে জেএমবির বোমা হামলার ১৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয় চত্বরে এ আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাজনৈতিক অপশক্তির প্রভাবে দেশে ধর্মান্ধ ও প্রতিক্রিয়াশীল বিভিন্ন চক্রের উদ্ভব ঘটেছে।

“এরপর নানা পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতা বিরোধী ও জঙ্গীবাদে বিশ্বাসী এ চক্র দেশে বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে। এই চক্রের মূল টার্গেটে হল বিচারাঙ্গন। দেশের বিচারাঙ্গনের বিচারক ও আইনজীবীগণ এই বর্বর চক্রের নির্মম ও মর্মান্তিক হামলার শিকার হয়েছে।”

বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস না গোষ্ঠীর বিচার ব্যবস্থার উপর বারবার ‘আঘাত করছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা জানে না ব্যক্তিকে হত্যা করা যায়, আদর্শকে হত্যা করা যায় না।”

গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. খালেদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধরণ সম্পাদক মঞ্জুর মোর্শেদ প্রিন্সের সঞ্চালনা করেন অনুষ্ঠানটি।

সভায় আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক।

এর আগে গাজীপুরের বিচারক ও আইনজীবীরা ওই হামলায় নিহত আইনজীবীদের জন্য স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধ জানান। এছাড়া দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে গাজীপুরের আইনজীবী সমিতির ২ নং হলরুমে জেএমবির আত্মঘাতী বোমা হামলায় চার আইনজীবী মো আমজাদ হোসেন, মো. আনোয়ারুল আজিম, মো. গোলাম ফারুক ও মুহাম্মদ নুরুল হুদা নিহত হন। এছাড়া আরও পাঁচ বিচারপ্রার্থীও নিহত হন।

এছাড়া ওই বছরের ১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকে আত্মঘাতি বোমা হামলায় নয় আইনজীবী ছাড়াও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও পথচারি আহত হন। পরে গুরুতর আহত এস এম জয়নাল আবেদীন ও খন্দকার আল-মামুন মাখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

আইনজীবী কক্ষে বোমা হামলার ঘটনায় ওই সময় ১০টি মামলা হয়। ঘটনার ৮ বছর পর ২০১৩ সালের ২০ জুন অভিযুক্ত ১০ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন দ্রæত বিচার আদালত-৪।