শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হলেই পাহাড়ে সংঘাত বন্ধ সম্ভব: জনসংহতি

পার্বত্য শান্তিচুক্তি পুরো বাস্তবায়ন হলেই পার্বত্য অঞ্চলে বর্তমান সংঘাত বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) ।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2019, 10:52 AM
Updated : 30 Nov 2019, 10:52 AM

আগামী ২ ডিসেম্বর সরকারের সঙ্গে করা এই চুক্তির বাইশ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়িতে এক রেস্তোরায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এ দলের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা।

একই সাথে সরকারের কাছে অনতিবিলম্বে চুক্তির যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।

১৯৯৭ সালের ওইদিন জনসংহতি সমিতির সাথে সরকারের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জনসংহতি সমিতির নেতারা বলেন, “একমাত্র চুক্তির পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত ও সহিংসতা বন্ধ করে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

মৌলিক বিষয়গুলো অবাস্তবায়িত রেখে চুক্তির অধিকাংশ ধারা উপধারা বাস্তবায়নের সরকারি দাবি প্রত্যাখ্যান করেন এবং সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে ধীরগতি অবলম্বন করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ভূমি কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ন, জুম্মদের বেহাত জমি ফেরত দেওয়া, পুলিশসহ স্থানীয় গুরুত্বুপূর্ণ বিভাগ আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন তারা।

এ সময় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল কান্তি চাকমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুভাষ কান্তি চাকমা, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, দূর্গা রানী চাকমা, জেলা সাধারণ সম্পাদক সিন্ধু কুমার চাকমা ও সদর উপজেলা শাখার সভাপতি কিরণ চাকমা  উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জনসংহতি সমিতি আগামী ২ ডিসেম্বর খাগড়াছড়িতে মহাজনপাড়া এমএন লারমা স্কোয়ারে জমায়েত, ৯টায় শোভাযাত্রা শেষে মারমা উন্নয়ন সংসদ কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভা করার কর্মসূচি নিয়েছে।