এ বিষয়ে ফুকরা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শিকদার কাইউম হোসেন বলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ফোন পেয়ে শুক্রবার বিকেলে শের আলী মোল্লার বাড়িতে আমি ছুটে যাই।
“উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে গুণে ৩২ খানা ঢেউ টিন পাই। সাথে সাথে বিষয়টি আমি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানাই।”
সে সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে অভিযুক্তের স্ত্রী মোসাম্মৎ হামিদা সুলতানা সরকারি টিন রয়েছে স্বীকার করেন এবং বাড়ির দক্ষিণ পাশের ঘরে ত্রাণের টিন দেখিয়ে দেন।
সেই সব টিনের গায়ে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ত্রাণ সামগ্রী, বিক্রয়ের জন্য নহে’ লেখা দেখতে পান সাংবাদিকরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শের আলী মোল্লা বলেন, “আমার শ্যালক মিরাজ খান জাহাজে চাকরি করেন। তার জায়গা আছে, কিন্তু ঘর নেই। তাকে আমি তদবির করে দু’ দফা রিলিফের টিন ও ১২ হাজার টাকা পাইয়ে দিয়েছি।
“তারা রিলিফের টিন এনে আমার ঘরে রেখেছে। এ টিন আদর্শ গ্রামের প্রকল্প থেকে বেঁচে যাওয়া টিন নয়। ”
কাশিয়ানী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ওই আওয়ামী লীগ নেতার শ্যালককে ২০১৬-১৭ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে দু’দফা ত্রাণের টিন এবং নগদ ১২ হাজার টাকা দেওয়ার খতা স্বীকার করেন।
“প্রথম বছরে মিরাজ খানের পক্ষে একজন টিন ও টাকা তোলেন। পরের বছরে মিরাজ খান স্বাক্ষর করে টিন ও টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান।”