রাবি প্রশাসন আটকে দিল এক স্নাতকের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ

একাদশ সমাবর্তনে নিবন্ধন করলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এক গ্রাজুয়েটকে অংশ নিতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2019, 09:38 AM
Updated : 30 Nov 2019, 11:18 AM

শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ সমাবর্তন শেখ কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে সমাবর্তনে যোগ দিতে না পরা বর্তমানে ঢাকায় এক গণমাধ্যমে কর্মরত মো. জাকির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১০-১১ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এমএ বারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। তার কাছে গিয়ে শুনেন।”

প্রশাসন সমাবর্তনে অংশ নিতে না দিলেও আগের দিন তাকে কর্তৃপক্ষের খুদেবার্তা পান উল্লেখ করে তিনি  জানান, সুভিনিয়রেও তার ছবিসহ নাম এসেছে।

জাকির হোসেন জানান, বিকেলে তার বিভাগে গাউন ও সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে দেখেন সেখানে তার নাম নেই।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গিয়েও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও কারণ জানতে পারেননি বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি জানান, বিকেলে ক্যাম্পাসে এসে এ ঘটনা জানার পরপরই রেজিস্ট্রারের দপ্তরে যান। রেজিস্ট্রার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে যেতে বলেন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে দেখা করলে তাকে জানান,  প্রক্টর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তিনি প্রক্টরের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

জাকির বলেন, “সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টরকে ফোন দিলে তিনি আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনেননি বলে জানান।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, “আমি কোনো অভিযোগ কোনো গ্রাজুয়েটের বিরুদ্ধে আনিনি।”

এদিকে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল ইসলাম বলেন, “গত প্রশাসনের সময় জাকির হোসেনের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষের একটা ঝামেলা হয়েছিল। সেই সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য তাকে আগেই অবগত করা হয়েছে।

“সেই সমস্যা সমাধান হয়নি বলে হয়ত তিনি সমাবর্তনের সুযোগ পাচ্ছেন না।”

এ অভিযোগ শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে জাকির বলেন, “তাহলে তখন আমি কীভাবে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রভিশনাল সার্টিফিকেট তুললাম? ”

ভুক্তভোগী প্রাক্তন এই ছাত্রের ধারণা সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহ-উপাচার্যের ফোনালাপের সংবাদসহ কয়েকটি অনিয়ম নিয়ে সংবাদ করায় তাকে সমাবর্তন থেকে দূরে রাখা হতে পারে।

তিনি বলেন, “একজন গ্রাজুয়েটের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বক্তব্য পায়নি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।