শুক্রবার রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী যদুরচরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ইদ্রিস আলী বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় উজানপাড়া গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি হযরত আলী জানান, বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী বকশীগঞ্জের যদুরচরে বন্য হাতির পাল অবস্থান করছে।
“হাতির আক্রমণ থেকে ফসল ও বসতবাড়ি রক্ষায় গ্রামের লোকজন বাড়ির আশপাশে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ দিয়ে রাখে।
ঘটনাস্থলেই এ মৃত্যুর খবর পেয়ে সে এলাকা পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
ভারত সীমান্ত থেকে নেমে আসা বন্য হাতির ওই পাল শুক্রবার রাত ১২টায় কামালপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী যদুরচর ও নয়াপাড়া গ্রামে পাকা ধানের ক্ষেতে অবস্থান করছিল বলে জানায় পুলিশ।
চট্টগ্রামের চুনতি বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ অফিসার মো. মনজুরুল আলম সম্প্রতি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাতির খাদ্য তালিকায় ধান আছে। শুধু আছে তাই না, পাকা ধান হাতির খুব পছন্দের খাবার।
একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাতির দৈনিক খাবারের চাহিদা ২০০ থেকে ২৫০ কেজি। যার মধ্যে বেশিরভাগই কলাপাতা, ঘাস ও গাছপালা বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।
প্রাণী গবেষকরা বলেন, অতি উৎসাহে স্থানীয়রা কখনও কখনও হাতির চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, যা হাতিকে আতঙ্কিত করে তোলে, এতে ফসলের জমি, ঘরবাড়ি ও মানুষের ওপর আক্রোশ বাড়ে। ক্ষিপ্ত হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।