বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার ঘোড়াদাইড় গ্রামের পাইকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আহত কালু খান (৪০) সদর উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী খানের ছেলে।
আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কালু খানের ভাই জিবু খান বলেন, ২০১৭ সালে পুকুরিয়া গ্রামের একটি সংঘর্ষের মামলায় বৃহস্পতিবার কালু খান গোপালগঞ্জের আদালতে হাজিরা দিয়ে তারা দুভাই ও চাচাতভাই হামিম মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
“ঘোড়াদাইড় পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের পুকুরিয়া গ্রামের শাহিদুল শেখ, জিবান শেখ, মুজাহিদ শেখ ও সেলিম শেখের নেতৃত্বে ২০/২৫ লোকজন তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়।”
জিবু বলেন, তারা তিনজন দৌড়ে বাগানি ভূইয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। হামলাকারীরা ওই বাড়ি গিয়ে বেড়া ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে কালুকে এলোপাথারি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
তিনি জানান, হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা কালুকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জে জেনারেল হাসপতালে নিয়ে আসে। তার শরীরে অসংখ্য ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকায় প্রচুর রক্তক্ষণ হয়েছে। এ কারণে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা পাঠিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালের উপ-পরিচালক ডা. অসিত মল্লিক বলেন, কালুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য জখম রয়েছে। শরীর থেকে ৭৫ ভাগ রক্ত বের হয়ে গেছে। অবস্থা খুবই আশংকাজনক। তাই তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সন্দেহভাজন হামলাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।