অবশেষে পাহাড়ি ভূমি বিরোধ মেটানোর দুয়ার খুলছে

পাহাড়ের ভূমি বিরোধ অবসানে শুনানি শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন।

ফজলে এলাহী রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2019, 04:41 PM
Updated : 27 Nov 2019, 04:47 PM

বুধবার সকালে রাঙামাটি সার্কিট হাউজে কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক সাংবাদিকদের জানান, আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে পাহাড়ের বিরোধপূর্ণ ভূমি নিয়ে শুনানির কার্যক্রম শুরু হবে।

এর আগে সেখানে এ সংক্রান্ত আনোয়ার উল হকের সভাপতিত্বে এক সভায় উপস্থিত ছিলেন এ কমিটির অন্য সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা ও ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সচিব আলী মনসুর।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ভিত্তিতে এই ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ১৯৯৯ সালে প্রথম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠন করলেও ভূমি বিরোধের নিষ্পত্তিতে অগ্রগতি হয়নি। ২০০৮ সালে ভূমি জরিপের উদ্যোগ নিলেও আইন সংশোধন না হওয়ার অভিযোগে পাহাড়ি দলগুলোর বিরোধিতায় তা ভেস্তে যায়।

চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, “আমরা ন্যায় ও ন্যায্যভাবে ভূমি নিয়ে সমাধান দিতে পারব।

“বিধিমালা বিষয়ে আঞ্চলিক পরিষদ সরকারকে যে পরামর্শ দিয়েছে তা গ্রহণ করেই যেন বিধিমালাটি প্রণয়ন করা হয়, তাহলে আমাদের কাজের জন্য সুবিধা হবে।”

‘অন্যসব কিছু’ ভূমির জটিলতার সাথে জড়িত উল্লেখ করে সন্তু লারমা বলেন, শান্তি চুক্তির ২২ বছর পর এখনো ভূমি ব্যবস্থাপনা জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত হয়নি। এখনো অনেক জটিলতা রয়ে গেছে।

“ভূমি কমিশন চেষ্টা থাকবে এ জটিলতার মধ্যে কীভাবে সুষ্ঠু সমাধান দেওয়া যেতে পারে।”

সভা শেষে জেলা পরিষদের নতুন ভবনে ভূমি কমিশনের শাখা অফিস পরিদর্শন করেন কমিশনের নেতারা।

এর আগে, বিরোধপূর্ণ ভূমি নিয়ে দরখাস্ত আহ্বান করা হলে দুই দফায় তিন পার্বত্য জেলায় তিন হাজার ৯৩৩টি আবেদন জমা পড়ে বলে কমিশন থেকে জানানো হয়েছে।

খাগড়াছড়িতে কমিশনের প্রধান কার্যালয় এবং রাঙামাটি ও বান্দরবনে শাখা অফিস থাকবে বলে জানিয়েছেন কমিশন চেয়ারম্যান।