টিসিবির পেঁয়াজ চায় গাজীপুরবাসী

গাজীপুরে ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজের বিক্রির দাবি উঠলেও ‘আমদানি কম থাকায়’ দিতে পারছেন না টিসিবি।

এ জেলার পাশেই রাজধানী ঢাকার ৫০টি পয়েন্টে এবং নারায়ণগঞ্জের দুইটি পয়েন্টে পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি।

টিসিবির তথ্য কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, পেঁয়াজের আমদানি বাড়লে গাজীপুরসহ আশেপাশের জেলায় তারা পেঁয়াজ বিক্রি করবেন।

গাজীপুরের কাপাসিয়ার টিসিবির ডিলার মেসার্স আমজাদ ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী মো. আমজাদ বলেন, গাজীপুরের জন্য টিসিবি পেঁয়াজ সরবরাহ করছে না। এছাড়া গাজীপুরের ডিলারদের টিসিবি তেল, ডাল, চিনি পরিমাণে কম দেওয়ায় এবং মুনাফা কম পাওয়ায় এসব পণ্য বিক্রির প্রতি তাদের আগ্রহ কমে গেছে।

“ওইসব পণ্যের যে মুনাফা তারা পান তাতে পণ্য পরিবহণ খরচ, ঘর ভাড়া, লেবার খরচে তাদের পোষায় না।

“তাছাড়া খুচরা বাজার মূল্য ও টিসিবির মূল্যের খুব একটা ব্যবধান না থাকায় অল্প টাকার জন্য নাগরিকরা পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়ায় না।”

পণ্যের পরিমাণ যদি বাড়িয়ে দেওয়া হত এবং মুনাফা বেশি পাওয়া যেত তবে ওই পণ্য বিক্রিতে ডিলারদের আগ্রহ বাড়ত বলে জানান আমজাদ।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে চান্দনা-চৌরাস্তা বাজারে দেখা গেছে, মিশরের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, বার্মার পেঁয়াজ ১৮০-১৯০ টাকা, দেশি হাইব্রিড ২০০ টাকা এবং দেশি জাতের পেঁয়াজ ২৩০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ওই বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রাজু মিয়া বলেন, “দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২২০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ১৬০ টাকা ও বার্মার পেঁয়াজ  প্রতিকেজি ১৮৫-১৯৩ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আবার পরিবহণের সময় প্রতি বস্তায় চার/পাঁচ কেজি করে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়।

“তাতে আমাদের অনেক ক্ষেত্রে লোকসানেও পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।”

একই কথা জানান, ওই বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খলিল, নুরুল আমিন, এনামুল হক।

গাজীপুর শহরের জয়দেবপুর বাজার, বোর্ডবাজার, টঙ্গীসহ আশেপাশে বিভিন্ন বাজারেও একই চিত্র পাওয়া গেছে।

জয়দেবপুরের বাসিন্দা দেবেশ মল্লিক বলেন, গাজীপুরে পেঁয়াজের মূল্য কয়েকদিন আগে কিছু কমলেও এখন আবার বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৮০ টাকা থেকে আড়াইশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি নারায়নগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকার মত টিসিবির মাধ্যমে গাজীপুরেও পেঁয়াজ বিক্রির দাবি জানান বাণিজ্যমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের কাছে।

গাজীপুর জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, গাজীপুরে টিসিবির পেঁয়াজ সরবরাহ নেই। তবে জেলা প্রশাসন খুচরা বাজারে পোঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ২৪ নভেম্বর স্থানীয় ২৫-৩০টি বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন।

এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত বাজারে গিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পেঁয়াজের ক্রয় রশিদ ও বিক্রয়মূল্য যাচাই করছেন। অসঙ্গতি পেলেই জরিমানাসহ শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।