দুদকের ফুরিদপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত বিভাগ) গণপতি বিশ্বাস শুভ, হাসপাতালের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) মিনাক্ষী চাকমা, হাসপাতালের সাবেক প্যাথোলজিস্ট এএইচএম নুরুল ইসলাম, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন।
আবুল কালাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য ‘অপ্রয়োজনীয়’ এবং ‘অবৈধভাবে উচ্চমূল্যে’ যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের দশ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগ করা হয়েছে।
দুদকের এ কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালের আইসিইউর পর্দা ও আসবাবপত্র কেনায় ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মেসার্স অনিক ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাজারমূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিক দাম দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।
এরপর গত ২০ অগাস্ট উচ্চ আদালত এ অভিযোগ তদন্ত করতে দুদককে নির্দেশ দেয়। এর জন্য ছয় মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান আবুল কালাম।