পুলিশের ধারণা, চুরি দেখে ফেলায় দুর্বৃত্তরা ব্র্যাক কর্মীকে হত্যা করে থাকতে পারে।
মঙ্গলবার বিকালে কাজিরহাটে ঢেউটিন, রড ও সিমেন্টের ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান সোহাগ ট্রের্ডাসে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মহিদুল ইসলামের (৪৫) বাড়ি নওগাঁয়। তিনি ব্র্যাক কাজির হাট শাখায় কর্মরত ছিলেন।
সোহাগ ট্রেডার্সের মালিক সোহাগ ইসলাম বলেন, সোহাগ ট্রেডার্সের পেছনে লাগোয়া একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ব্র্যাক কর্মী মহিদুল ইসলাম। পাওনাদারকে পরিশোধের জন্য দুপুরে ব্যাংক থেকে আট লাখ টাকা উত্তোলন করে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বাক্সে রাখেন। এরপর দোকান বন্ধ করে সংগলশী ইউনিয়নের মুশরত কুখাপাড়া গ্রামের বাড়িতে যান।
“দুপুরের খাওয়া সেরে বিকালে এসে দোকান খুলে দেখি ক্যাশ বাক্সটি ভাংগা। টেবিলের উপরে থাকা সিসি ক্যামেরার মনিটর এবং কম্পিউটার কিছুই নেই।”
এরপর তিনি থানায় খবর দিতে যান বলে জানান।
সোহাগের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রুহুল আমিন বলেন, সন্ধ্যায় এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানের পেছনের বাড়িতে ঢুকে দেখেন তালাবন্ধ একটি কক্ষ থেকে বারান্দায় রক্ত বের হয়ে আসছে। পরে জানালার ফাঁক দিয়ে মহিদুল ইসলামের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
সোহাগ ইসলাম বলেন, তার দোকানের পেছনে সংলগ্ন একটি বাড়ি আছে তাদের। সেটি ভাড়া দিয়েছেন মহিদুল ইসলামকে। ওই বাড়িতে মহিদুল তার স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। মহিদুলের স্ত্রী একটি স্কুলে শিক্ষতা করেন। দোকানের পেছনে ওই বাড়িতে প্রবেশের একটি দরজা আছে।
এলাকাবাসীর ধারণা, দুর্বৃত্তরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনে বাড়ির সঙ্গে লাগায়ো ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করার পর ব্র্যাক কর্মী মহিদুল দেখে ফেলেন। একারণে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে থাকতে পারে।