উত্তরাঞ্চলে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক-লরি মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটের ডাক

প্রচলিত হারে কমিশনসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক-লরি মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ পহেলা ডিসেম্বর থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2019, 09:03 AM
Updated : 26 Nov 2019, 09:04 AM

মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মিজানর রহমান রতন দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘটের ডাক দেন।

এ সংগঠনের খুলনা ও রংপুর বিভাগীয় কমিটিও আলাদাভাবে এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেবে বলে রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির এই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা  মিজানর রহমান রতন।

১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে সাত শতাংশ প্রদান, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল।

এছাড়া, পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারে ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক পাঁচ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।

তাদের দাবির মধ্যে আরও আছে, ট্যাংকলরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলার বা এজেন্টদেরকে অযথা হয়রানি বন্ধ, নতুন কোন পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রোল পাম্পের পাশে যেকোন স্থাপনা নির্মাণের পূর্বে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক এবং বিভিন্ন জেলায় ট্যাংকলরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলে ‘শুধু মৌখিক আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।’

অলাভজনক খাতে পরিণত হওয়া কথা তুলে সংগঠনের নেতারা জানান, এ অবস্থায় পাম্প পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

“তাই আমরা বাধ্য হয়ে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি এম এ মোমিন দুলাল, রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এআর এম খোরশেদ আলম লিটন, আব্দুল করিম, জাহিদুর রহমান, এবিএম সিদ্দিক, উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন বাঘাবাড়ী ঘাট শাখার কার্যকরী সভাপতি আজিজুর রহমান গ্যাদা, সাংগাঠনিক সম্পাদক আজমত মোল্লা প্রমুখ।