বিআরটিসির দিনাজপুর ডিপো ম্যানেজার জুলফিকার আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দিনাজপুর মোটর পরিবহন মালিক গ্রুপের বাধার কারণে এই দ্বিতল বাসগুলো সড়কে নামাতে পারছেন না।
দিনাজপুর-বাংলাবান্ধা, দিনাজপুর-কুড়িগ্রাম এবং দিনাজপুর-রংপুর রুটে চালানোর জন্য গত ৬ নভেম্বর এসব বাস বরাদ্দ পান বলে জানান তিনি।
প্রায় এক মাস ধরে ডিপোতে বাসগুলো পড়ে থাকার কথা উল্লেথ করে তিনি জানান, কবে নাগাদ চালু হবে কিংবা আদৌ তা চালু করা সম্ভব হবে কিনা সে বিষয়ে স্থানীয় বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে পারছে না।
দ্বিতল বাস চলাচলে বাধা দানের কথা স্বীকার করে দিনাজপুর মোটর পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ রিয়াজ চৌধুরী পিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০০৩ সালে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সাথে সরকারের একটি চুক্তি হয়।
“সেই চুক্তিতে তখনই মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে চলাচলকারী সব বিআরটিসির দ্বিতল বাস প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।”
দ্বিতল বাসগুলো দিনাজপুরে আসার পর ওই চুক্তির কথা স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে উল্লেখ করে এই বাসগুলো দিনাজপুরে চালাতে না দেওয়ার কথা প্রশাসনকে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের সহজ শর্তের ২০০ কোটি ডলার ঋণের আওতায় ৬০০ বাস ও ৫০০টি ট্রাক আমদানি করা হয়। এসব বাসের মধ্যে ৩০০টি দ্বিতল বাস, ১০০টি একতলা সাধারণ বাস এবং ২০০টি এসি বাস রয়েছে। দ্বিতল বাসগুলো তৈরি করছে ভারতের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অশোক লিল্যান্ড।
আমদানি শুরুর পর বছরের শুরুতে বিআরটিসির পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছিলেন, দ্বিতল বাসগুলো ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলবে এবং একতলা বাস ঢাকা ও বাইরের জেলার বিভিন্ন রুটে চলবে।
তবে দিনাজপুর অঞ্চলে দ্বিতল চলাচলের উপযোগী সড়ক থাকার দাবি করে ওই ছয়টি দ্বিতল বাস দেওয়ার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য মাধ্যমে চাওয়া হয়েছিল বলে জানান বিআরটিসির দিনাজপুর ডিপো ম্যানেজার জুলফিকার।