রোববার সিলেটে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ভারত সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে যে এনআরসির কারণে ভারত থেকে কাউকে বাংলাদেশে পুশইন করবে না।
“বাংলাদেশ সরকার তাদের বিশ্বাস করে এবং এ বিষয়ে আশ্বস্ত হয়েছে।”
সম্প্রতি ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে মানুষের আসা বেড়ে গেলে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়। এই মাসে গত শনিবার পর্যন্ত মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ২৩৪ জন প্রবেশ করেছে, যাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি।
ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর তালিকায় না থাকাদের কাউকে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে কিনা সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এই নাগরিকপঞ্জিতে সেদেশের লাখ লাখ মানুষ তালিকাভুক্ত হয়নি; যারা ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর ভারত গেছে বলছে ভারত।
বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বললে তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশকে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে আস্বস্ত করেন।
শনিবার ভোরে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকের অনুপ্রবেশের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী মোমেন বলেন, “কিছু ফড়িয়া ভারতের দরিদ্র মানুষকে প্রলোভন দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। বাংলাদেশে এলে সরকার খাবারের ব্যবস্থা করবে এমন আশ্বাস দিয়ে মানুষকে নিয়ে আসে। তবে এসব তৎপরতা ঠেকাতে কাজ করছে সীমান্তরক্ষা বাহিনী।”
দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুলী, জেলা প্রশাসক কাজী এম এমদাদুল ইসলাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।