স্মরণে তাজরীন অগ্নিকাণ্ডে নিহতরা

ঢাকার আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সাত বছর পূর্তির দিনে নিহতদের স্মরণ করেছে বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ শ্রমিকরা।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2019, 10:48 AM
Updated : 24 Nov 2019, 10:51 AM

রোববার সকালে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরিন ফ্যাশনের সামনে একটি অস্থায়ী বেদি তৈরি করে ফুল দিয়ে নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

এ সময় নিহতের স্বজন, আহত শ্রমিক ও ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে এবং তাদের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।   

এর আগে কারখানার মালিক দেলোয়ার হোসেনের ফাঁসির দাবির শ্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাজরিন ফ্যাশনের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মানববন্ধন কর্মসূচি ও নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া পড়েন তারা। এ সময় নিহতের স্বজনদের অনেকেই প্রিয়জনের কথা স্মরণ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।  

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নিহত শ্রমিকদের স্বজন ও আহত শ্রমিকরা জানান, তাজরিন ফ্যাশনে ক্ষতিগ্রস্থদের পুর্নবাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার এবং বিজিএমইএ। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

সেদিনের দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিক শিল্পী আক্তার বলেন, “তাজরীনে দুর্ঘটনার পর থেকে কোন কাজ করতে পারি না। পায়ে হেঁটে কাপড় বিক্রি করেছি কিন্তু বেশি অসুস্থ হওয়ায় এখন আর তাও করতে পারি না। এখন দুমুঠো ভাত যোগাতেও আমার কষ্ট হয়।”

বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তুহিন চৌধুরী বলেন, “২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক আটকে দিয়ে ১১৩ জন শ্রমিককে ভেতরে পুড়িয়ে মেরেছিল। এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যা বিভিন্ন তদন্তেও প্রমাণ হয়েছে।”

অবিলম্বে কারখানার মালিক দেলোয়ারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।

এ সময় গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা সহায়তা ট্রাস্ট ও টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার ফেডারেশনসহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।