গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার রোববার সকালে তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মনির মোল্যা ওরফে মনির ওরফে মনি মোল্লা ওরফে আকুব্বর হোসেন আকু (৩৮), আলমগীর হোসেন ওরফে আলম (৪০), তার স্ত্রী মোসাম্মৎ ছুম্মা খাতুন (৩২), মো. রানু শেখ ওরফে নান্নু শেখ (৩৮), মো. সাইদুর সরদার (৪৪), বাদশা প্রামানিক ওরফে বাবু ওরফে বাদশা বাবু (৩৮), নাজমুল (২৬), সঞ্জয় সরকার (৪০), মো. সুজন (২৪) ও বিবেক পাল (৪২)।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে সঞ্জয় সরকার ও বিবেক পাল স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত। ঢাকার আশুলিয়ায় সঞ্জয়ের এবং ধামরাইয়ে বিবেক পালের গয়নার দোকান আছে। পাশাপাশি তারা ডাকাতির সঙ্গেও যুক্ত। লুট করা সোনা ও রূপা গলিয়ে তারা গয়না বানিয়ে বিক্রি করতেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে। এরপর শুক্র ও শনিবার সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজবাড়ি, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে ওই দশজনকে গ্রেপ্তার করে বলে পুলিশ সুপার জানান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ৪৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬০০ গ্রাম রুপা, এক লাখ ৫৬ হাজার ৩২০টাকা, সাতটি ককটেল, একটি চাপাতি ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে আলমগীর, তার স্ত্রী ছুম্মা ও মনির ডাকাতির আগে ওই দোকানগুলো ‘রেকি’ করতে গিয়েছিলেন।
মনির ঝুট ব্যবসায়ী পরিচয়ে কালিয়াকৈর এলাকার ভান্নারা এলাকায় এবং আলমগীর গার্মেন্ট শ্রমিক পরিচয়ে গাজীপুর সদরের হোতাপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন। অন্তরালে তারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
এদের মধ্যে মনিরের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, মো. আমিনুল ইসলাম, শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী, পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।