ফরাজীকান্দি উয়েসিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আতাউল করিম মুজাহিদ জানান, মাদ্রাসার কমপ্লেক্সের আল আমিন এতিমখানায় শনিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ঝূঁকিপূর্ণ তিনতলা মাদ্রাসাটি ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেখানে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে বলে জানান তিনি।
বাকিদের চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতাল, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে মো. হোসেন নামে এক শিক্ষক রয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান নিয়ে আলামিন এতিমখানার দোতলায় শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্ররা সভা করছিল।
“রাত ১০টার দিকে বারান্দাটির ফ্লোর ধসে পড়ে। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিচতলায় পড়ে গুরুতর আহত হয়।”
পরে মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্র ও এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ গিয়ে উদ্ধার কজে অংশ নেয় বলে জানান অধ্যক্ষ মুজাহিদ জানান।
হাফেজ বিভাগের ছাত্র মো. আল হাসান বলেন, “এ অবস্থায় আমরা এখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি বসবাস করছি। ভবনটি পুরাতন হওয়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।”
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “ভবনটি খুবই ঝূঁকিপূর্ণ। ভবন নির্মাণে কোনো ধরনের নিয়মনীতি ছিল না। এটি বসবাসের অনুপযোগী।”
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, “দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এতিমখানার তিনতলা ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।”
সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।