শুক্রবার রাতে র্যাব ও সেনাবাহীনির একটি দল এই অভিযান চালায় বলে র্যাব ৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল জানান।
তিনি শনিবার বেলা ২টার দিকে বলেন, “অভিযানের সময় উদ্যানের ভেতরে গহিন জঙ্গলে ১৩টি রকেট লঞ্চার, ১১টি চার্জার ও ১৩টি পাইপ পাওয়া গেছে।”
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় উদ্যানের পুর্বপাশে কনিমুছড়া এলাকার দক্ষিণে প্রায় এক কিলোমিটার ভিতরে র্যাব সদস্য ও সেনা সদস্যরা সাদা পোশাকে অভিযান চালাচ্ছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা এ অভিযান চালান।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে র্যাব ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান শুরু করে। অভিযান চলে শুক্রবার সারাদিন এবং শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত।
শনিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, অভিযানে ১৩টি রকেট লঞ্চার সেল, ১১টি চার্জার এবং ১৩টি পাইপ উদ্ধার করা হয়। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ একটি নীল রংয়ের ড্রামের মধ্যে ছিল।
তিনি জানান, আপতত অভিযান সমাপ্ত হয়েছে। তবে সিলেট থেকে একটি বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম ঘটনাস্থলে আসছে।
এদিকে, র্যাব-সেনাবাহিনীর অভিযানের খবরে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আসা পর্যটকদের অনেকেই ফেরত চলে যান।
চুনারুঘাট থানার (ওসি) শেখ নাজমুল হক জানান, অভিযানের খবর পাওয়ার পর থেকেই চুনারুঘাট থানার একটি টহল দল পার্ক এলাকায় টহল দিচ্ছে। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েয়ে। পুলিশ সতর্কাবস্থায় রয়েছেন। গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি ওই বনে অভিযান চালিয়ে ১০টি ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট উদ্ধার করে র্যাব।
তার আগে ২০১৪ সালের ৩ জুন, ২৯ অগাস্ট, ২ ও ১৭ সেপ্টেম্বর এবং ১৬ অক্টোবর সেখানে পাঁচ দফা অভিযান চালায় র্যাব। এর মধ্যে ১৬ সেপ্টেম্বরের অভিযানে ত্রিপুরা পল্লীর একটি বাড়ির ছাগল রাখার ঘরের নিচে একটি বাঙ্কার থেকে ১৪ বস্তা গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তিনটি মামলা হলেও কোনো আসামির খোঁজ না পেয়ে চুনারুঘাট থানার পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। ২০১৬ সালের ১৫ জুন ওই বনে আরও একবার অভিযান চালানো হলেও তখন কিছু পায়নি র্যাব।