শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লৌহজং উপজেলার কনকশার বটতলা গ্রামের বাহ্মণগাঁও উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে হলদিয়া সাতঘড়িয়া কবরস্থানে আটজনের দাফন হয়। অন্য দুইজনের দাফন হয় পৃথক গ্রামে।
শুক্রবার জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস চুরমার হয়ে ১০ আরোহী নিহত হন। আহত হন আরও দুই বরযাত্রী ও বাসের ১০ জন। আর বিয়েবাড়ি পরিণত হয় শোকের বাড়িতে।
‘বেপরোয়া বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারানোয়’ এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের ভাষ্য।
নিহতদের সাতজনই এক পরিবারের। দুইজন তাদের প্রতিবেশী আর অন্যজন হলেন মাইক্রোবাসের চালক। তাদের বাড়ি জেলার লৌহজং উপজেলার কনকশার গ্রামে।
কনকশার থেকে মাইক্রোবাসে করে বরযাত্রীর দলটি ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার কামরাঙ্গীর চরে যাচ্ছিল।
তাদের মধ্যে আছেন বরের বাবা আব্দুর রশীদ ব্যাপারি (৬০), বোন লিজা (২২), লিজার মেয়ে তাবাসসুম (৪), ভাবি রুনা আক্তার (২২), রুনার ছেলে তাহসিন (৩), মামাত বোন রানু (১২), বরের খালাত ভাই জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), প্রতিবেশী কেরামত আলী (৭০), মফিজুল (৬০) ও মাইক্রোবাসের চালক বিল্লাল মিয়া (২৮)।
দুর্ঘটনা কারণ খুঁজতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়কে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন।
এর আগে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসমা শাহিনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও পরে তা সম্প্রসারিত করা হয় বলে তিনি জানান।