জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের পাশাপাশি তার প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে বলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়ায় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের বাড়িতে অনুষ্ঠিত দলীয় বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় শিল্পমন্ত্রী ছাড়াও নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান দীলিপ, নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ভূঁইয়া, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল ও মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক উপস্থিত ছিলেন।
হীরু সাংবাদিকদের বলেন, “পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করায় জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ ও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে (বুবলীকে)। আর সংসদ সদস্যের বিষয়ে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন।
“পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দেশ ও বিদেশে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন (বুবলী)। এতে বাংলাদেশের ও আওয়ামী লীগের সুনাম চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। সে জন্য তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে আমাদের জানানো হয়।”
বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
বুবলী নরসিংদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনের স্ত্রী। ২০১১ সালে হামলায় নিহত হন লোকমান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, বুবলী এইচএসসি পাস। তবে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়িয়ে নিতে তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ কোর্সে ভর্তি হন।
বুবলী ঢাকায় থাকলেও তার হয়ে নরসিংদীতে অন্যরা বিএ পরীক্ষা দেন বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার সম্পর্কে উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মান্নান বলেছিলেন, “বুবলী নিজে পরীক্ষা না দিয়ে পরপর আটটি পরীক্ষায় তার পক্ষে প্রক্সি পরীক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শেষ দিনের পরীক্ষা দিতে গিয়ে হলে হাতেনাতে ধরা পড়েন এক শিক্ষার্থী।
“ঘটনাটি ধরা পড়া এবং এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রাথমিক তদন্ত শেষে তাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।”