শাহজাদপুরের এমপির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাদাবির অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই দলেরই এক নেতা।

বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে শাহজাদপুর উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন সরকার এ অভিযোগ দায়ের করেন।

তবে আদালত তাৎক্ষণিক কোনো আদেশ না দিয়ে অভিযোগটি আদেশের অপেক্ষায় রেখেছেন।

বাদীর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, “দ্রুত বিচার আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হাবিবুর রহমান বাদীর বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেছেন। বিষয়টি আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।”

অভিযোগের প্রধান আসামি শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন।

অন্য আসামিরা হলেন শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সালাম ব্যাপারী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আশিকুল হক দিনার, পৌর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল্লাহ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আল-আমিন, পৌর যুবলীগের সদস্য আলা উদ্দিন, রুপবাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কামরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা দিনারের ছোট ভাই অনিকসহ ১২ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগের বরাত দিয়ে বাদীর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন বিভিন্ন সময় বাদীর কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে এক কোটি ৯৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি/সম্পাদক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন বাদী। অভিযোগের অনুলিপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ন সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দুর্নীতি দমন কমিশনেও দেওয়া হয়েছে। 

“এরপরও বাদী আবুল হোসেন সরকারের কাছে এমপি স্বপন এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন।”

রফিকুল বলেন, দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত ১৯ নভেম্বর বিকালে এমপি স্বপনের নেতৃত্বে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আশিকুল হক দিনারসহ অন্য আসামিরা পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বাঘাবাড়ি এলাকায় বাদীর অফিসে হামলা ও ভাংচুর চালান।

“এ সময় তারা আলমিরা ভেঙে ১০ লাখ টাকা লুট করে এবং বাদীর অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়।”

হাসিবুর রহমান স্বপন

এ বিষয়ে এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি দলের এমপি ও সভাপতি। অস্ত্র হাতে নিয়ে নিজ দলেরই অফিস ভাঙব-এটা পাগলও বিশ্বাস করবে না। অভিযোগকারী আবুল হোসেন একজন এবনরমাল লোক। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সে আদালতে আমার ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমি বিশ্বাস করি আদালত সত্য মিথ্যা যাচাই করেই অভিযোগটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”

দলের কাছে করা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একই ব্যক্তি দলের বিভিন্ন ফোরামে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তাদের কাছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি তাই মেনে নেব।”

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আশিকুল হক দিনার বলেন, “বাদীর অভিযোগ ভিত্তিহীন ও হাস্যকর। ঘটনার দিন এমপি সাহেব ও আমরা দলীয় নেতাকর্মীরা কেউই ঘটনাস্থলে যাইনি। বাদী মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।”