বুধবার দুপুরে ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের পশ্চিম নান্দিয়ারপাড়া গ্রামে এ হামলা হয়।
নিহত আব্দুস সবুর (৩৬) ধুনট উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও নান্দিয়ারপাড়ার রহিম বকসের ছেলে।
নিহতের প্রতিবেশী আব্দুল হামিদ ও আব্দুস সোবহান সাংবাদিকদের জানান, পল্লি চিকিৎসক আব্দুস সবুরের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের নান্দিয়ারপাড়ার জনাব আলীর ছেলে নিমগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা (সাবেক সাধারণ সম্পাদক) কামরুল ইমলামের বিরোধ চলে আসছিল।
পরিবারে বরাত দিয়ে হামিদ বলেন, “বুধবার দুপুরে বিরোধ আপসের কথা বলে এক যুবক মোবাইল ফোনে আব্দুস সবুরকে ডেকে নিয়ে পশ্চিম নান্দিয়ারপাড়ায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে যায়।
“পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কয়েকজন যুবক অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে সবুরকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়।”
আব্দুস সোবহান বলেন, পরে স্থানীয়রা থানায় খরব দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ধুনট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শেখ মতিউর রহমান বলেন, প্রায় ১০ মাস আগে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় নিমগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে কামরুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মতিউর রহমান এ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।