পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার ভোর ৬টা থেকে ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ করে দেয় মালিক এবং শ্রমিকরা। এতে জনজীবনের তেমন একটা প্রভাব না পরলেও, বিঘ্নিত হয়েছে পণ্য পরিবহন।
বরিশালে কাচামালের সব চেয়ে বড় পাইকারি বাজার সিটি মার্কেটের আড়ৎদার রনি সিকদার জানান, বরিশালে চাহিদার ৭৫ ভাগ কাঁচা শাক, সবজি আসে দেশের উত্তর অঞ্চল থেকে। ট্রাক-কভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকায় বেপারিরা আর পণ্য নিয়ে আসতে পারবে না। ফলে কাঁচামালের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
তিনি জানান, আকস্মিক ট্রাক ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়তে হয়েছে তাকে। ট্রাক না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অধিক টাকা খরচ করে ভ্যান গাড়ি ভাড়া করতে হয়েছে তার।
তবে কোনো ধর্মঘট আহ্বান করা হয়নি দাবি করে বরিশাল বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শরীফ বলেন, ‘অধিকাংশ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন নেই। তার উপর নতুন পরিবহন আইনে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে ও সাজাও অনেক বেশি। তাই চালকরা মামলা ও জরিমানা এড়াতে ট্রাক-কভার্ড ভ্যান চালানো বন্ধ রেখেছে।”
এদিকে, এক দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার ভোর থেকে স্বাভাবিক হয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল। বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে ছেড়ে যাচ্ছে রাজধানীগামী পরিবহনও। তবে উত্তরাঞ্চল রুটের বাস এখনো ছাড়েনি।
যদিও বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সহসভাপতি ইউনুস আলী খান জানান, অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা মিলিয়ে ৩৫ রুটে বাস চলাচল করে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে। ভোর থেকে সবকটি রুটেই বাস চলাচল করছে।
বরিশাল জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন জানান, বরিশাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ধর্মঘট-ই ডাকা হয়নি। শ্রমিকরা মামলা ও জরিমানার ভয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাস চালায়নি।
“সন্ধ্যার পরে অভ্যন্তরীণ রুটে ২/১টি বাস চলাচল করেছে। বুধবার সকাল থেকে আগের মতই বাস চলছে।”
তবে গৌরনদীগামী রহিম আফরোজ নামে এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার ধর্মঘটের কথা বলে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি ইজিবাইক ও থ্রি হুইলার চলাচলেও বাধা দেয় বাস শ্রমিকরা।