জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার বেলা ২টার দিকে শ্রমিকরা সরে যাওয়ার পর সাইনবোর্ড এলাকায় আটকে থাকা যানবাহন চলতে শুরু করে।
তবে ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান ধর্মঘট অব্যহত রাখার কথা জানিয়েছেন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা। অধিকাংশ পরিবহনের দূর পাল্লার বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একদল পরিবহন শ্রমিক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সকাল ৭টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সেখানে যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া দেয়। সড়কে এলোমেলোভাবে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচলের পথ।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভারপ্রপাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, দুপুরে শ্রমিকদের ‘বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার পর’ আবার গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
ধর্মঘট থেকেও শ্রমিকরা সরে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্রাক-কভার্ডভ্যান মালিক সমিতির নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শফি উদ্দিন প্রধান বলেন, তারা আইন সংশধনের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে সাইনবোর্ডের অবরোধে তাদের কেউ অংশ নেয়নি।
একই ধরনের মন্তব্য করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কাওসার আহমেদ পলাশ।
তিনি বলেন, “রাস্তা অবরোধের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। শ্রমিকেরা স্বেচ্ছায় রাস্তা আটকে রেখেছিল।”