গাইবান্ধার এমপি লিটন হত্যার রায় ২৮ নভেম্বর

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আসামিদের সাজা হবে কিনা তা জানা যাবে আগামী ২৮ নভেম্বর।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2019, 01:15 PM
Updated : 19 Nov 2019, 01:24 PM

যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক আগামী ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ঠিক করেন।

প্রধান আসামি সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির আব্দুল কাদের খানকে একই ঘটনায় অস্ত্র মামলার রায়ে গত ১১ জুন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন একই বিচারক। এছাড়া অস্ত্র মামলায় পৃথক এক ধারায় তাকে ১৫ বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত।

ওই আদালতের পিপি শফিকুল ইসলাম বলেন, “মামলার এজাহার, আসামি ও সাক্ষীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, অস্ত্র উদ্ধারসহ নানা দিক আলোকপাত করে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। যুক্তিতর্ক শেষে আগামী ২৮ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক।

“২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।”

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের ফাঁসিসহ সব্বোর্চ শাস্তি হবে বলে মনে করেন পিপি শফিকুল।

তিনি বলেন, যুক্তিতর্ক শুনানির সময় কাদের খানসহ অভিযুক্ত আটজন আসামির মধ্যে ছয়জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার অপর দুই আসামির একজন সুবল চন্দ্র রায় কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। আর চন্দন কুমার রায় নামে এক আসামি পলাতক রয়েছেন।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। মামলার প্রধান আসামি কাদের খানও ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পোঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলী। তদন্ত শেষে কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

ওই বছরই ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর থেকে কাদের খান গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন কাদের খানের একান্ত সহকারী শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আবদুল হান্নান, মেহেদি হাসান, শাহীন মিয়া ও আনোয়ারুল ইসলাম রানা।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল হামিদ দাবি করেন, “এমপি লিটনকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে আর কাদের খানকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।

“আসামিদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে বিস্তারিত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। তার পরও মামলার রায় সন্তোষজনক না হলে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়া হবেন আসামিরা।”