গোপালগঞ্জে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে জড়িত অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2019, 01:30 PM
Updated : 17 Nov 2019, 01:51 PM

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন একাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (এআইএস) বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী বাবুল শিকদার বাবু, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা ৩য় বর্ষের মো. নয়ন খান, নিয়ামুল ইসলান, মনিমুল হক, আইন বিভাগের ৩য় বর্ষের অমিত গাইন, ২য় বর্ষের মানিক মজুমদার ও  সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ২য় বর্ষের রনি খান।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে দুই সেমিস্টার (জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২০) বহিষ্কার ও হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়।

বহিষ্কারাদেশের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক অভিযানে প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীসহ ১২ জনের একটি চক্রকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতজন ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

চক্রটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সাত শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে দুই সেমিস্টার (জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২০) বহিষ্কার ও হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে বলে চিঠিতে বলা রহয়। 

রেজিস্ট্রার নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন সংক্রান্ত প্রতারণার ঘটনায় সাত শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। এ কারণে গত ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা বোর্ড সভা করে ওই সাত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

“এর আগে এ সংক্রান্তে গঠিত তদন্ত কমিটি গত ১১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা বোর্ডের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে ওই সাত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।”

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১২ সদস্যকে আটকের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ৯ নভেম্বর রাতে তাদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় সোপর্দ করে। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলাটি তদন্ত করছে।