শনিবার ডেডিসির ইংরেজি পরীক্ষা কেন্দ্রে এসব জেলা-জমিানা করা হয়। ইংরেজির মধ্য দিয়ে এবারের জেডিসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
গত ২ নভেম্বর সারাদেশে ২০১৯ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে জেএসসি ও জেডিসির কয়েকটি পরীক্ষা পেছানো হয়েছে, যার মধ্যে ইংরোজিও রয়েছে। ইংরেজি পরীক্ষা ছিল ১১ নভেম্বর। পরে তা পরিবর্তন করে ১৬ নভেম্বর করা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ভোলা প্রতিনিধি জানান, লালমোহন উপজেলায় জেডিসি পরীক্ষার শেষদিনে শনিবার ইংরেজির প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ তিনজনকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এই অভিযান দণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডিতরা হলেন উপজেলার চরভূতা বাংলাবাজার মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মাওলানা মো. হেলালউদ্দিন, চরভূতা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল গণির ছেলে বহিরাগত যুবক রাসেল (৩৫) ও চরভূতা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোসলেউদ্দিনের ছেলে এমরান হোসেন (২৯)।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাবিবুল হাসান রুমি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে থেকে রাসেল ও এমরান হোসেনকে আটক করা হয়।
“এ সময় তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্রের ভিতর থেকে পরীক্ষায় দায়িত্বরত শিক্ষক মাওলানা মো. হেলালউদ্দিনকে আটক করা হয়।”
পরে তাদের প্রত্যেককে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে ইউএনও হাবিবুল হাসান রুমি জানান।
পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় জেডিসি পরীক্ষায় একজনের বদলে আরেকজন অংশ নেওয়ায় কেন্দ্র সচিব ও এক মাদ্রাসা সুপারসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার ইকড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম পশারীবুনিয়ার বিপিএম দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ভান্ডারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ হোসেন জানান, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পাঁচ ভূয়া পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করেন এবং অন্যের পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে তাদের আটক করেন।
“এ সময় কেন্দ্র সচিব মো. আমির হোসেন ও হরিণপালা নেছারিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো. সিদ্দিকুর রহমানকেও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আটক করা হয়।”
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পশ্চিম গোলবুনিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার পাঁচজন পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে বদলি পাঁচজন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের শনাক্ত করে তাদের আটক করা হয়।
ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল আলম জানান, মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র-২ বিপিএম দাখিল মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব মাওলানা আমীর হোসেনসহ মোট সাতজনকে আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে মাদ্রাসা বোর্ডে চিঠি দেওয়া হবে।
ভান্ডারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এমাদুল হক বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান,
সদর উপজেলায় লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে শনিবার দুই শিক্ষার্থী ও সাত শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষক হলেন ইটাপোতা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ভবরঞ্জন বর্মন, চর কুলাঘাট দাখিল মাদ্রাসার মরিয়ম বেগম, হারাটি দাখিল মাদ্রাসার রহমত আলী, নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, বলিরাম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক সাজেদা বেগম, বেরাপাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নাছির উদ্দিন ও একই প্রতিষ্ঠানের অপর শিক্ষক আবু হানিফ।
শিক্ষার্থীরা শিশু হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করা হলো না।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রানী রায়ের নেতৃত্বে বিশেষ টিম পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালায়।
ইউএনও জয়শ্রী রানী রায় বলেন, শিক্ষার্থীদের নকলে সহযোগিতার জন্য শিক্ষকদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের এমপিও বাতিলের সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হবে।
লালমনিরহাট নেছাররিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মোসলেম উদ্দিন বলেন, ১১ ও ১২ নম্বর কক্ষে শিক্ষকের সহায়তায় ছাত্ররা প্রশ্নপত্রে দাগানোর সুযোগ লাভ করেছে।