শুক্রবার বিকেলে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “ইঞ্জিনে আগুন লাগার পর কিভাবে তা পেছনের দুটি বগিতে ছড়িয়ে পড়ল, এ বিষয়টি আমাদের ভাবাচ্ছে।
“২০১৩ ও ’১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা এই অঞ্চলে ট্রেন পুড়িয়ে দিয়েছিল। আবারও পরিকল্পিতভাবে তেমন কোনো সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এখানে ঘটেছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। লাইন ক্লিয়ারদেয়ার ব্যাপারে কারও কোন গাফিলতি আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে উল্লাপাড়া স্টেশনের কাছে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুর এক্সপ্রেসের পাওয়ার কার ও ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। এতে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
মন্ত্রী বলেন, “এখানে ট্রেনটির স্টপেজ ছিল না। ক্রসিংয়েরও কোনো ব্যাপার ছিল না। এখানে ডিটেইলমেন্টটা হওয়ার কথা নয়।
“ইঞ্জিনের তেল থেকে আগুন লাগতে পারে। কিন্তু অন্য বগির ভেতরে কিভাবে আগুন লাগল, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হবে।”
রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, জেলা প্রশাসক ফারুক আহাম্মাদ, উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুজ্জামান, পৌরমেয়র এসএম নজরুল ইসলাম মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।