শোভাযাত্রা-মেলায় নোয়াখালীতে ডায়াবেটিক দিবস পালন

‘আগামী পরিবর্তন করতে আজই পদক্ষেপ নিন’ এ স্লোগানে নোয়াখালী ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, ডায়াবেটিক সচেতনতা মেলা, বিনামূল্যে সুগার পরীক্ষা ও ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান।

সকাল ১০টায় নোয়াখালী ডায়াবেটিক সমিতির সামনে থেকে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ডায়াবেটিক রোগীসহ নানা পেশার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।

এর আগে নোয়াখালী ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবিএম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলম আজাদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমিতির সহ সভাপতি পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, শিল্পোদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ কাজী মুহাম্মদ রফিক উল্লাহ ও নোয়াখালী ডায়াবেটিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আবদুল কাদির।

বক্তারা ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে জীবনযাপনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

সভা মঞ্চের পাশে ডায়াবেটিক সচেতনতা মেলার বিভিন্ন স্টলে এবং নোয়াখালী ডায়াবেটিক সমিতির নিজস্ব হাসপাতালে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত লোকজনের বিনামূল্যে সুগার পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।

নোয়াখালী ডায়াবেটিক সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলম জানান, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত নোয়াখালী ডায়াবেটিক সমিতি ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারিভাবে পাওয়া ২৫ শতক জমিতে তিনতলা ভবনে সমিতির নিজস্ব হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়। এ হাসপাতালে বর্তমানে নিবন্ধিত রোগী সংখ্যা ২১ হাজার ২১৫ জন। এ বছর হাসপাতালের বহিঃবিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় ২৯ হাজার ৮৮৯ জনকে। জটিল রোগের অপারেশন সহ ইনডোর সেবা দেওয়া হয় ৭২২ জনকে।

তিনি জানান, গত এক বছরে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় ৪ হাজার ৯২৬ জনকে। এর মধ্যে বিনামূল্যে ইনসুলিন দেওয়া হয় ২ হাজার ৬০০ জনকে। এছাড়া প্রতি বছর জেলার উপকূলীয় চরে সমিতির পক্ষ মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে সেখানে থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। সমিতির নিজস্ব হাসপাতালে ডায়াবেটিক ছাড়াও চক্ষু, দন্ত সহ অন্যন্য রোগের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসব সহ ৬১ জন কর্মী।