গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদেশি ছাত্রীর অভিযোগ

বিদেশি এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ‘যৌন হয়রানির’ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2019, 04:53 AM
Updated : 14 Nov 2019, 12:14 PM

তবে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. হুমায়ূন কবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছেন। 

বিদেশি ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি বিভাগে পড়ছেন। বুধবার তিনি রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

সেখানে বলা হয়, তাদের সমাজ বিজ্ঞানের কোর্স পড়াতেন হুমায়ূন কবির। ক্লাস শেষে প্রায়ই ওই শিক্ষার্থীকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলতেন। এক পর্যায়ে তিনি ফেইসবুক মেসেঞ্জারে ওই ছাত্রীকে ‘আপত্তিকর’ কথা বলতে শুরু করেন।

বিব্রত ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানোর কথা বললে হুমায়ূন কবির তাকে নানাভাবে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে রেজিস্ট্রারের কাছে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতা ও দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় শিক্ষক হুমায়ুন কবিরকে নিতে হবে।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে অভিযোগ অস্বীকার করে হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, “ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ। এ ধরনের কোনো ঘটনা আদৌ ঘটেনি।”

তবে ওই ছাত্রীর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. নুরউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন কর হবে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

হুমায়ূন কবিরের সংবাদ সম্মেলন

দুপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হুমায়ূন কবির বলেন, ওই শিক্ষার্থী তার বিরদ্ধে মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বানোয়াট, ও ষড়যন্ত্রমূলক যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন।

তিনি বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের ‘অনৈতিক’ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

“এছাড়া আমরা ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে ১২ পরীক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি। এতে সাবেক ভিসি পন্থি কিছু শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র করে ওই শিক্ষার্থীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়।”

এ ব্যাপারে তিনি গোপালগঞ্জ থানায় জিডি করছেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে এর বিচার দাবি করেন।