পিরোজপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত ৩-এর বিচারক মেহেদী হাসান বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন জেলার কাউখালী উপজেলার সয়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. উজ্জ্বল মিয়া, কেশরতা সুজাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাদল হালদার, সোনাকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্যামল হালদার ও শংকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল খান।
উজ্জ্বল মিয়াকে দেড় বছর আর অন্য তিনজনকে ছয় মাস করে এই সাজা দিয়েছে আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই আদালতে ছিলেন। সাজা হওয়ায় তারা সবাই চাকরিচ্যুত হবেন।
ইতোমধ্যেই উজ্জ্বল মিয়াকে একই ঘটনায় বিভাগীয় মামলায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর বাদল ও শ্যামলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর জলিল খান চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় অবসরে গেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন তালুকদার মামলার নথির বরাতে জানান, ২০০৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর উজ্জ্বল মিয়ার নেতৃত্বে অন্য তিন শিক্ষক জুতার মালা তৈরি করে নিয়ে তৎকালীন কাউখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকে এক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার গলায় পরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা নিজেরাই আবার এ ঘটনার ছবি তুলে সংবাদমাধ্যমে সরবরাহ করেন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষা কর্মকর্তা মামলা করেন।
আইনজীবী আনোয়ার বলেন, এ মামলায় আদালত বাদীসহ মোট আটজনের সাক্ষ্য নিয়েছে। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের এই সাজা দিয়েছে।
“আইন অনুসারে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই সরকারি কর্মচারী হওয়ায় সবাই চাকরিচ্যুত হবেন।”