বুধবার ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত করে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছেন বলে জানান।
গত সোমবার পাঠানো ওই চিঠি প্রসঙ্গে সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, “কেন্দ্রের নির্দেশে দিয়েছেন।”
আগামি ১৬ নভেম্বর শনিবার নগরকান্দার এমএন একাডেমি মাঠে দুটি উপজেলার সম্মেলন এক সাথে হওয়ার কথা ছিল।
চিঠিতে তিণি বলেন, “বিধি বর্হিভূতভাবে ১৬ নভেম্বর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
“এতে ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে এবং এলাকার আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটবে।”
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত থাকবে বলে জানান তিনি।
গত ৮ নভেম্বর সালথায় এবং ৯ নভেম্বর নগরকান্দায় ‘বর্ধিত সভা’ করে সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে সম্মেলন আহ্বান করে বিভিন্ন মহলে চিঠি দেওয়া হয়।
ওই দুটি বর্ধিত সভায় দলের নিবেদিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ‘হাইব্রিড’ (অনুপ্রবেশকারী) নব্য যোগদানকারীদের নিয়ে অগঠনতান্ত্রিকভাবে সভা করা হয় অভিযোগ তুলে সম্মেলন স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে দলের জেলা সভাপতিকে চিঠি দেন ওই দুই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
সালথা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান, গত শুক্রবার সালথায় কথিত ওই বর্ধিত সভার ব্যানারে সভাপতিত্ব করবেন মো. দেলোয়ার হোসেন লেখা থাকলেও তাকে বর্ধিতসভার বিষয়টি জানানো হয়নি।
তার অভিযোগ, গত জাতীয় নির্বাচনে যারা নৌকার বিরোধিতা করেছে এবং উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিপরীতে আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন তাদের নিয়ে অগঠনতান্ত্রিকভাবে এ বিতর্কিত বর্ধিত সভা করা হয়েছে।
অন্যদিকে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়মন আকবর চৌধুরীর অভিযোগ তাকে না জানিয়ে ‘নৌকা বিরোধী চক্র অবৈধভাবে’ সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে।
“নগরকান্দায় এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ আ.লীগের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে যে কোন ধরণের সংঘর্ষ ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই অবৈধ সম্মেলন বন্ধের অনুরোধ করছি।”
সালথা ও নগরকান্দায় দলের বর্ধিতসভায় জেলা কমিটির পক্ষে যোগ দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন।
এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুস সোবাহান মিয়া জানান, দলের বর্ধিত সভায় দলের জেলা সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
তবে সৈয়দ মাসুদ হোসেন সভায় উপস্থিত থাকলে সুবল চন্দ্র সাহা থাকবেন না বলেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।