রোববার ঝড়ে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ট্রলার ডুবে, ঘরবাড়ি ও গাছ চাপা পড়ে বিভিন্ন স্থানে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার বাগেরহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে শহরে মাইকিং করেছে। বুধবার নাগাদ পাম্প এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হলে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানানো হয়।
পাম্প এলাকায় পল্লি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তবে পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের পূর্ব সায়েড়া গ্রামের বিদ্যুৎ চালিত পাম্প থেকে পৌরসভায় পানি সরবরাহ করছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে তারের উপর গাছ পড়ে পল্লি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ওই পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় গত দিনদিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার বাসিন্দা জয়দেব সাহা বলেন, “ঝড়ের দিন সকাল থেকে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় দারুণ সমস্যায় আছি আমরা। পৌরসভার পানি দিয়ে রান্না, খাওয়া সব কাজ চলে। পানি না থাকায় গৃহস্থালির সব কাজে বিঘ্ন ঘটছে।”
বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাগেরহাট পৌরসভায় পানি সরবরাহ করা হয় পল্লি বিদ্যুতের আওতাধীন বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের পূর্ব সায়েড়া গ্রামের পানির পাম্প থেকে। সেখানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
“তাই আমরা পৌরসভার গ্রাহকদের পানি সরবরাহ করতে পারছি না। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর জন্য পল্লি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আজ রাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হলে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”