মঙ্গলবার সকালে সাড়ে ৯টায় উপজেলার ডামুড্যা পৌরসভার খেজুরতলা এলাকার এ দুর্ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছে বলে ডামুড্যা থানার ওসি মেহেদী হাসান জানিয়েছেন।
নিহত বাসযাত্রী কামরুজ্জামান মুন্সি (৪৫) ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা গ্রামের বাসিন্দা এবং জীবন বীমা কর্পোরেশনের ঢাকাস্থ গুলিস্থান কার্যালয়ের অফিস সহকারী ছিলেন। অপর নিহত যাত্রী ইয়াকুব পাইক ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান বলে জানান তিনি।
এছাড়া আহতদের উদ্ধারে গিয়ে নিহত জুলহাস মোল্যা (২৮) স্থানীয় কুলকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ যাত্রীদের উদ্ধার করেছে।
নিহত অজুলহাসের ভাই আজিজুল মোল্যা বলেন, বাস দুর্ঘটনার পর আমার ভাই জুলহাস মোল্যা উদ্ধার করতে গিয়ে লাশ দেখে জ্ঞান হারিয়ে মারা যায়।
নিহত কামরুজ্জামানের ভাতিজা মুন্সি আনিসুজ্জামান বলেন, আমার চাচা ঢাকায় জীবন বীমা কর্পোরেশন অফিসে চাকুরী করে। বাড়িতে ছুটি শেষে সকালে ঢাকায় যাওয়ার পথে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে।
ডামুড্যা থানা ও স্থানীয় কনেকশ্বর ইউনিয়ের পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান, ডামুড্যা উপজেলার সদর বাস স্ট্যান্ড থেকে একটি যাত্রিবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথে ডামুড্যা পৌর এলাকার কুলকুড়ি খেজুরতলায় পৌছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পার্শ্ববতী পুকুরে পড়ে যায়।
“এ ঘটনায় বাসের ভিতর আটকা পড়ে কামরুজ্জামান মারা যান।
ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী বাবুল খান জানান, আহত বাসযাত্রীদের মধ্য তাদের ওখানে চিকিৎসা নিয়েছেন মমতাজ বেগম (৩৮) গোবিন্দ (৪৫) খোকন হাওলাদার(৫০)ইয়াকুব আলী পাইক (৮০) নুরুল ইসলাম (৫০) নিপা কর্মকার(২৮) ফজলুল করিম সেক(৪৭) আঃ রশিদ মাদবর(৬০) মাঈন উদ্দিন (৬০) নিপা ( ২৮) রফিক উদ্দিন(৪৫) ইতি (৫০) শারমিন আকতার (৩০) ও সোহেল ফকির (২২), আতাউর রহমান, মিজানুর রহমান ও নাছির খান।
“আহত মমতাজ বেগম ও ইয়াকুব পাইকের অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়।“
মুনসুর আজাদ শামীম ও উজ্জল সিকদারসহ কয়েক স্থানীয় এর আগেও সেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল।